নিজের গবেষণায় উদ্ভাবিত চিকিৎসাপদ্ধতিতে ক্যানসারমুক্ত হলেন চিকিৎসক

প্রথম পাতা » আইটি এন্ড ডিজাইন » নিজের গবেষণায় উদ্ভাবিত চিকিৎসাপদ্ধতিতে ক্যানসারমুক্ত হলেন চিকিৎসক


 ক্যানসারমুক্ত চিকিৎসক

প্রাইমডেস্ক :নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতি দিয়ে এক বছর চিকিৎসা করিয়ে ক্যানসার মুক্ত হয়েছেন রিচার্ড স্কোলার নামের অস্ট্রেলিয়ার এক চিকিৎসক। তার রোগটি এতটাই আক্রমণাত্মক ছিল যে বেশিরভাগ রোগীই এক বছরের কম সময় বেঁচে থাকে।সোমবার (১৩ মে) রিচার্ড স্কোলায়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান সর্বশেষ এমআরআইয়ে দেখা গেছে, ক্যানসার তার ব্রেনে ফিরে আসেনি।

তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি আগের যেকোনো স্ক্যানের চেয়ে বেশি নার্ভাস ছিলাম। আমি কেবল রোমাঞ্চিত এবং আনন্দিত—এর চেয়ে খুশি হতে পারি না।’গত বছর পোল্যান্ডে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিচার্ড স্কোলায়ার। এরপরই জানা যায় তিনি গ্রেড-৪ ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই ক্যানসারটি গ্লিওব্লাসতোমা নামে পরিচিত। এটি এতটাই মারাত্মক যে, যে ব্যক্তি এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি খুব বেশি হলে এক বছর বা ১২ মাস বাঁচতে পারেন৫৭ বছর বয়সী এই চিকিৎসক মেলানোমা নিয়ে গবেষণা করেন। এটি এমন ক্যানসার যেটি শরীরের চামড়ার মাধ্যমে শুরু হয়। এ নিয়ে গবেষণা করে ক্যানসার চিকিৎসার একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি।প্রফেসর স্কোলায়ার এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন তার সহকর্মী প্রফেসর জর্জিনা লংয়ের সঙ্গে। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়ার মেলানোমা ইনস্টিটিউটের সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।

তারা ইমিউনথেরাপির ওপর ভিত্তি করে উদ্ধাবিত পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে শরীরের ইমিউনকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) ক্যানসারের কোষকে হামলা করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়।

মেলানোমার ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে অস্ত্রোপচারের আগে ক্যানসারের কোষে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করলে ইমিউনথেরাপি ভালো কাজ করে।প্রফেসর স্কোলায়ার বিশ্বের একমাত্র ব্রেন ক্যানসার আক্রান্ত হিসেবে অস্ত্রোপচারের আগে ইমিউনথেরাপির চিকিৎসা নিয়েছেন।তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি বেশ ভালো অনুভব করছি। আমার ক্যানসার সেরে গেছে এর মাধ্যমে এটি বলা যাবে না। তবে জেনে ভালো লেগেছে ক্যানসারটি ফিরে আসেনি। যার অর্থ আমার স্ত্রী ক্যাটি এবং আমার সুন্দর তিন সন্তানের সঙ্গে আরও সময় কাটাতে পারব।’তার পরিবার এবং মেডিকেল টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রফেসর স্কয়লার বলেন, ‘আমি যে দলের সাথে কাজ করি তার জন্য আমি গর্ববোধ করি’। [বিবিসি]